মো. নুরুল আলম, চন্দনাইশঃ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বনবিভাগের গাছ কাটা ও চুরিতে বাধা দেওয়ায় ৯ বনকর্মকর্তা-কর্মচারী ওপর হামলা ঘটনায় চিহ্নিত ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন এজাহারভুক্ত দুইভাই ৮ ও ৯ নম্বর আসামি মো: এনাম (২৬) ও মোঃ ইমন (২৩)। রবিবার রাতে বন বিভাগের পটিয়া রেঞ্জের আওতাধীন বরগুনি বিটের বিট কর্মকর্তা মোঃ রহমত আলী বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ২০ ঘন্টার মধ্যে রবিবার সন্ধ্যাই পুলিশ এজাহার নামীয় ২ জনকে চন্দনাইশ পৌরসভা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন।
জানা যায়, গত ১৮ অক্টোবর রাতে সাড়ে ১০টায় দিকে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার জামিরজুরী আর্দশ গ্রামের উত্তর পার্শ্বে সাতছড়ি খাল পার হয়ে ছোট পাহাড়ে তাল গাছের গোড়ায় কর্তনকৃত সেগুন কাঠ পাঁচার করার উদ্দেশ্যে লুকানো রয়েছে বলে গোপন সংবাদে মাধ্যমে জানতে পারে বন বিভাগ। পরে বনবিভাগ পটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হকের নেতৃত্বে গাছ কাটা ও গাছ চুরিতে বাধা দেওয়ায় জন্য বরগুনি বিটের বিট কর্মকর্তা মোঃ রহমত আলী, ফরেস্ট গার্ড মো: লোকমান, ফরেস্ট গার্ড শফিকুর রহমান, বাগান মালী শাহাব উদ্দীন, হেডম্যান মহিউদ্দিন, ভিলেজার মাহাবুব, হেডম্যান আব্দুর রহমান, ২জন সিএনজি চালক সুমন, জিসান ও পিকআপ গাড়ির ড্রাইভার তৈয়ব সহ তিন জন লেবার নিয়ে অভিযানে যায়। এ সময় গাছ চোরের দল অভিযানের খবর পেয়ে সংঘবদ্ধ আক্রমণ চালায় বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর। এ সময় বনদস্যুরা পটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক, ফরেস্ট গার্ড লোকমানের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। এ সময় হামলাকারীদের দা ও লাঠির আঘাতে অভিযানের সবাই গুরুতর আহত হয়। এ সময় বন বিভাগের কর্মকর্তা আত্মরক্ষার্থে বনরক্ষীরা ৩-৪ রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার বনের মধ্যে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। পরবর্তীতে হামলার বিষয়টি পটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা দোহাজারী রেঞ্জ অফিসে অবহিত করা হলে দোহাজারী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম ও পটিয়া এসএফএনটিসি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আলম হাফিজ চন্দনাইশের অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্প ও চন্দনাইশ থানাকে জানানো হয়। তাদের সহযোগিতায় আহতদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ধৃত ২ আসামীকে সোমবার সকালে চট্টগ্রাম আদালতে প্রেরণ করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমরান আল হোসাইন বলেন, বন বিভাগের এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে। ২জন আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।##
Leave a Reply